রাজশাহীতে নির্মাণকাজের সময় সকল নিয়ম মানতে হবে।

খালি চোখেই দেখা যাচ্ছে, আশপাশে অনেক ধুলাবালু উড়ছে। কিছুদিন আগে সকালবেলায় টেবিলে দেখা গেল একগাদা ধুলা পড়ে আছে। প্রতিদিনই পড়ে থাকে। শুধু আমরাই যে বলছি, এটা না; গত মাসে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনারে একটা গবেষণায় রাজশাহী শহরের বায়ুদূষণের কথা উঠে এসেছে। ২০২২ সালেও আমরা পরীক্ষা চালিয়েছিলাম। সব মিলিয়ে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, বায়ুর মান পরীক্ষা করাটা খুব জরুরি। বাংলাদেশে বাতাসে ভাসমান ক্ষুদ্র ধূলিকণা (১০ মাইক্রোমিটার আকারের) প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ১৫০ মাইক্রোগ্রাম এবং আরও ক্ষুদ্র ধূলিকণা (২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার আকারের) প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ৬৫ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত স্বাভাবিক ধরা হয়। কিন্তু আমরা পেয়েছি আরও অনেক বেশি। কিছু কিছু জায়গায় কয়েক গুণ বেশি। বায়ুর মান এমন থাকলে তা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর ফলে ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে, ক্যানসার হতে পারে। এ ছাড়া দীর্ঘক্ষণ কাশির মতো রোগও হতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্যের দিক দিয়েও এটা ক্ষতিকর হতে পারে। এটা আরও বলতে পারবেন এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ যাঁরা আছেন। বায়ুদূষণ বেড়ে যাওয়ার কারণ নগরায়ণ। রাজশাহীতে যা হচ্ছে, তা অপরিকল্পিত নগরায়ণ। শহরে নির্মাণকাজ হচ্ছে, অনেক বাড়িঘর-ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান হচ্ছে। বড় বড় পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে। শহরের বড় গাছপালা কেটে ফেলা হয়েছে। মাটির মাঠও কমে যাচ্ছে। বাতাসের ধুলাবালু যদি মাটিতে পড়ে কিংবা পুকুরের পানিতে পড়ে, তাহলে সেটি কিন্তু দ্রুতই মাটি ও পানির সঙ্গে মিশে যায়। কিন্তু এখন যেটা হচ্ছে, পুকুর ভরাট করা হয়েছে বালু দিয়ে, মাঠেও বালু, সব জায়গায় কংক্রিট। সেখানে ধুলাবালু পড়লে মিশে না গিয়ে বাতাসে উড়ে উড়ে বেড়ায়। আমরা এর আগে শব্দদূষণ নিয়েও কাজ করেছি। তখন আমাদের পরীক্ষার পর রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পুনরায় পরীক্ষা চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। এখন আবার থেমে গেছে। আমরা সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের কাছেও সেগুলো উপস্থাপন করেছি। আমরা গতকালের পরীক্ষার ফলাফল আজ রোববার সিটি করপোরেশনে পাঠিয়েছি। আমরা আশা করব, তারা ব্যবস্থা নেবে। বাংলাদেশ বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০২২ অনুযায়ী যে নিয়মকানুন আছে, অবকাঠামো নির্মাণের জন্য তা না মানার ফলেই বায়ুদূষণ বাড়ছে। এই নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়াতে হবে। এ ছাড়া পুকুর ভরাট বন্ধ করা, অবশিষ্ট থাকা বড় গাছপালা না কেটে দ্রুত বর্ধনশীল গাছ লাগানো দরকার।

Reasons for signing.

See why other supporters are signing, why this petition is important to them, and share your reason for signing (this will mean a lot to the starter of the petition).

View All resone For signin

Reasons for signing.

See why other supporters are signing, why this petition is important to them, and share your reason for signing (this will mean a lot to the starter of the petition).

Recent News

This petiton does not yet have any updates

Abu Rakhi

Started This Abedon.

13 November 2023   4.4 K

0 have signed. Let’s get to 500,000 !

0%
Treands

At 500,000 signatures, this petition becomes one of the top signed on amarabedon.com!

Sign This

By signing you are agree to the followingTerms & Condition and Privacy Policy.

Must see setitions

একের পর এক আগুনের ঘটনা, জলাশয় রক্ষা করুন

একের পর এক আগুনের ঘটনা, জলাশয় রক্ষা করুন

রাজধানী ঢাকায় প্রতি বছর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলিতে ১২৪ জন এবং ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চুড়িহাট্টায়... Sign This
কাপাসিয়ার বনভূমি ‘কুহু’অভয়ারণ্য বাস্তবায়নে কত দিন লাগে ?

কাপাসিয়ার বনভূমি ‘কুহু’অভয়ারণ্য বাস্তবায়নে কত দিন লাগে ?

বন বিভাগ চাইলেই গাজীপুরের কাপাসিয়ার ‘কুহু’কে সত্যিকারের অভয়ারণ্যে পরিণত করতে পারে। স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন (রিমি) তিন বছর ধরে... Sign This
Loading