বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়টি এখনো পূর্ণতা পায়নি। শ্রেণিকক্ষের সংকট, শিক্ষকের সংকট, আবাসন সমস্যা, ল্যাব ও গ্রন্থাগারের অপ্রতুলতা এবং গবেষণার অভাব—এসব সমস্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে।
বিশেষ করে শ্রেণিকক্ষের সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের খোলা মাঠে পাঠদান করতে হচ্ছে, যা শিক্ষার পরিবেশ ও মানকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ ছাড়া সেশনজটের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে এবং তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। এই সংকট নিরসনে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমস্যা হলো অবকাঠামোগত সংকট। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫টি বিভাগের জন্য মাত্র ৩৬টি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে, যেখানে প্রয়োজন ৭৫টি। এ ছাড়া শিক্ষকসংকটও একটি বড় সমস্যা। ১০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র ১৬৭ জন শিক্ষক রয়েছেন, যার মধ্যে অনেকে শিক্ষাছুটিতে আছেন।
ফলে পাঠদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। ল্যাব, গ্রন্থাগার ও গবেষণার সুযোগ-সুবিধার অভাবও শিক্ষার মানকে প্রভাবিত করছে। প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম একটি গুচ্ছ ভবনে চলছে। এটি কার্যক্রমকে জটিল করে তুলেছে। ক্লাস কম হওয়ায় সিলেবাস ঠিকমতো শেষ করা যায় না, ফলে সেশনজট বাড়ছে। এ ছাড়া গবেষণার সুযোগ না থাকায় শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চা ও দক্ষতা উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এসব সংকট নিরসনে জরুরি ভিত্তিতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষক নিয়োগ, সেশনজট নিরসন, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং সরকারি ও বেসরকারি সহায়তা নেওয়া প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, ল্যাব, গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ প্রয়োজন। একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের জন্য আলাদা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ জরুরি। সেশনজট কমাতে শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি ক্লাসের সময়সূচি আরও নমনীয় ও কার্যকর করা দরকার।
এসব লক্ষ্য অর্জনে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া উচিত। গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত ফান্ড, ল্যাব–সুবিধা ও আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহ করতে হবে। এতে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চা ও দক্ষতা উন্নয়ন সম্ভব হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট নিরসনে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায় থেকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্ব গড়ে তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা যেতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ইতিমধ্যে সংকট নিরসনে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি মন্ত্রণালয়ে গিয়ে সমস্যা তুলে ধরেছেন এবং প্রকল্প অনুমোদনের চেষ্টা করছেন। তবে শুধু উপাচার্যের একার প্রচেষ্টায় এই সংকট নিরসন সম্ভব নয়। এ সমস্যা সমাধানে সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।
See why other supporters are signing, why this petition is important to them, and share your reason for signing (this will mean a lot to the starter of the petition).
This petiton does not yet have any updates
At 200,000 signatures, this petition becomes one of the top signed on amarabedon.com!
By signing you are agree to the followingTerms & Condition and Privacy Policy.
Reasons for signing.
See why other supporters are signing, why this petition is important to them, and share your reason for signing (this will mean a lot to the starter of the petition).