সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবনের জন্য সরকারি বরাদ্দ এসেছে। পুরোনো জরাজীর্ণ ভবনও ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভবন না ওঠা পর্যন্ত পাঠ কার্যক্রম চালাতে ঠিকাদারের পক্ষ থেকে একটি চালাঘরও বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই ভবন উঠল না, কোটি টাকার বরাদ্দও ফেরত গেছে এবং পুরোনো ভবন হারিয়ে চালাঘরেই চলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে হতভাগা বিদ্যালয় বলা যায় এটিকে। পুরো উপজেলায় এমন দুর্দশাগ্রস্ত আর কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই।
বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের খাড়াতাইয়া গ্রামে অবস্থিত বিদ্যালয়টির নাম ‘খাড়াতাইয়া পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থী আছে ৮২ জন। প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয়টিতে কর্মরত আছেন ছয়জন শিক্ষক। ভাঙাচোরা একটি একচালা টিনের ঘরে চলে পাঠদান। টিনের ঘরটির তিনটি কক্ষই নড়বড়ে। এর মধ্যেই শিক্ষকদের অফিস ও শ্রেণিকক্ষ। বিদ্যালয়টিতে নেই শৌচাগার ও নলকূপ। খেলার মাঠ তো অনেক দূরের কথা। এভাবে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কীভাবে চলতে পারে? প্রাথমিক স্কুল হবে শিশুবান্ধব, সেটির ছিটেফোঁটাও এখানে নেই।
স্থানীয় একটি মাদ্রাসা-সংলগ্ন তিন কক্ষবিশিষ্ট একতলা একটি ভবনে বিদ্যালয়টির পাঠদান চলে আসছিল। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান এবং ফলও ছিল বেশ ভালো। ভবন পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়ায় ২০২০ সালে বহুতল ভবন নির্মাণে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তখন পুরোনো পরিত্যক্ত ভবনটি দরপত্রের মাধ্যমে ভেঙে ফেলা হয়। ওই বছরই পুরোনো ভবনের জায়গায় নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু বিদ্যালয়ের সম্পত্তি নিজের দাবি করে আদালতে মামলা করে দেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। ফলে ভবনের নির্মাণকাজও হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। স্কুলটিও পড়ে আছে সেই নড়বড়ে একচালা ঘরে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, বর্তমান টিনের ঘরটি সামান্য বাতাসেও নড়তে থাকে। আর বৃষ্টি হলে বাচ্চাগুলোকে নিয়ে ছাতা মাথায় দিয়ে শিক্ষকেরা এক কোণে বসে থাকেন। পুরো ঘরেই টিনের চাল দিয়ে পানি পড়ে।
প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে একটি সরকারি স্কুলের ভূমিকা অপরিসীম। বুড়িচংয়ের গ্রামটিতে এমন স্কুল থাকলেও সেটির সুবিধা পুরোপুরি অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয় যে ব্যক্তি এখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন, আমরা আশা করব তিনি এলাকার শিক্ষা উন্নয়নের দিকে লক্ষ রেখে তাঁর অবস্থান থেকে সরে আসবেন। যদিও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মামলা নিষ্পত্তি হতে সময় লাগলে বিকল্প জমিতে ভবন নির্মাণের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন তাঁরা।
আমরা আশা করব, দ্রুত স্কুলটি নিয়ে মামলার নিষ্পত্তি হবে এবং স্কুলের জন্য ভবন নির্মাণের কাজও আবার শুরু হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবারই সহযোগিতা কাম্য।
See why other supporters are signing, why this petition is important to them, and share your reason for signing (this will mean a lot to the starter of the petition).
This petiton does not yet have any updates
At 100,000 signatures, this petition becomes one of the top signed on amarabedon.com!
By signing you are agree to the followingTerms & Condition and Privacy Policy.
Reasons for signing.
See why other supporters are signing, why this petition is important to them, and share your reason for signing (this will mean a lot to the starter of the petition).