বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অছাত্রদের আবাসিক হলে রেখে আর কত তোষণ করবে? প্রথম আলোর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানাচ্ছেন, ভর্তি পরীক্ষার পাঁচ মাস পর ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস শুরু হয়েছে। তা-ও আবার অনলাইনে।
কারণ, আবাসিক এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈধ ছাত্রদের আবাসনের ব্যবস্থা প্রশাসন করতে পারছে না। ৪১ থেকে ৪৫ ব্যাচের সরকারদলীয় অছাত্ররা ৫০০ আসন দখল করে বসে আছেন। চলতি মাসে নতুন চারটি হলের উদ্বোধন হয়েছে। কিন্তু কর্মচারী নিয়োগ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা উঠতে পারছেন না। কী চমৎকার!
এ অভিযোগ নিয়ে প্রথম আলো কথা বলেছে ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের সঙ্গে। তাঁর কথা হলো, অছাত্ররা হলে নেই। তাঁরা বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি, ‘স্পেশাল’ পরীক্ষা দিচ্ছেন। উপাচার্য নূরুল আলম প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ‘দ্রুত’ সমস্যা সমাধানের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী বলেছেন, এসব শিক্ষার্থীকে প্রশাসন ভিন্নমত নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করে। তাই ছাড়তে চায় না।
কথা হলো, এই ‘দ্রুত’ সমাধানটা কবে হবে? কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ৫২ ব্যাচ চলছে। ৪১-৪৫ ব্যাচের অছাত্ররা এত দিন ধরে আরামসে হল দখল করে বসে আছেন এবং তাঁদের হল থেকে নামানোর কোনো কার্যকর উদ্যোগ কখনো নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়নি। ধরে নিই, সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠনের অছাত্রদের হল থেকে বের করে দিতে উপাচার্য লজ্জা পাচ্ছেন কিংবা প্রশাসন চালাতে অছাত্রদের দরকার আছে। তাহলে নতুন হলগুলো দ্রুত চালু করার ব্যবস্থা প্রশাসন কেন করছে না?
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলার চেষ্টা করছে যে লোক নিয়োগ নিয়ে ঝামেলায় পড়েছে তারা। গত মার্চে উদ্বোধনের পর ৯ মাস পরও কেন এই ঝামেলা মেটানো যায়নি? প্রশাসনের সদিচ্ছা নিয়েই তো প্রশ্ন উঠছে। আর ছাত্রলীগ সভাপতির কথা যদি সত্য বলে ধরে নিই, তাহলে অছাত্ররা কোন কোর্সে ভর্তি হয়েছেন, বিশেষ কী পরীক্ষা দিচ্ছেন, সেই তথ্য প্রকাশ করা হোক।
রাজনীতি করার জন্য হলে থাকতে আমরা আগেও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-নেত্রীদের নিত্যনতুন কোর্সে ভর্তি হতে দেখেছি। এসব কোর্স দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কতটা জরুরি? ছাত্রনেতারা এসব কোর্সে কত দিন ধরে ভর্তি থাকছেন? কী তাঁদের ফল? এসব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কখনো কি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেছে?
প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। তাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বড় অংশই ৫০০–এর মধ্যেও থাকতে পারে না। আমরা উচ্চকণ্ঠে এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে দুয়ো দিই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের মানোন্নয়নে আসলে কী করে?
ছাত্রছাত্রীরা দূরদূরান্ত থেকে আসেন, থাকার জায়গা পান না। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো লজ্জা আছে বলেও মনে হয় না। সামান্য কর্তব্যবোধ থাকলে অছাত্রদের হল থেকে বের করুন, নবীন ছাত্রছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করুন।
See why other supporters are signing, why this petition is important to them, and share your reason for signing (this will mean a lot to the starter of the petition).
This petiton does not yet have any updates
At 500,000 signatures, this petition becomes one of the top signed on amarabedon.com!
By signing you are agree to the followingTerms & Condition and Privacy Policy.
Reasons for signing.
See why other supporters are signing, why this petition is important to them, and share your reason for signing (this will mean a lot to the starter of the petition).