কক্সবাজারের সৈকতসংলগ্ন শিউলি কটেজের টর্চার সেলে অপহৃত চার কিশোরকে নির্যাতনের ঘটনায় ট্যুরিস্ট পুলিশ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শনিবার রাত ১১টায় সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের একটি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে রাসেদুল ইসলাম (২৫) ও মো. শাকিল (২২) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বাড়ি কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার মামুনঘাটা এলাকায়।
৭ আগস্ট মধ্যরাতে ট্যুরিস্ট পুলিশ কটেজ জোনের শিউলি কটেজের একটি কক্ষ থেকে অপহৃত চার কিশোরকে উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ট্যুরিস্ট পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপহরণ মামলা করে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে গ্রেপ্তার শাকিল ও রাসেদুল শিউলি কটেজের টর্চার সেলে অপহৃত চার কিশোরকে নির্যাতনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত। রাসেদের নেতৃত্বে সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে আসা চার কিশোরকে নানা প্রলোভন দিয়ে কটেজে এনে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয় এবং তাদের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মধ্যরাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চার কিশোরকে উদ্ধার করলেও অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা কটেজের পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। গতকাল তাদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আর কারা জড়িত, তা শনাক্তের কাজ চলছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ট্যুরিস্ট পুলিশের উপপরিদর্শক আবদুল হামিদ বলেন, গ্রেপ্তার রাসেদুল ইসলাম ও শাকিলকে আজ রোববার বিকেলে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া চার কিশোরের বরাত দিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ জানায়, কম ভাড়ায় কক্ষের প্রলোভন দিয়ে দালাল চক্র সৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটকসহ নানা বয়সী লোকজনকে প্রথমে কটেজ জোনে আনে। তারপর কক্ষে আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়ে আদায় করা হয় মুক্তিপণ। এ সময় কটেজের কক্ষে মেয়েদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়।
পুলিশ জানায়, উখিয়ার বাসিন্দা আবদুর রহিম ও মহেশখালীর লোকমান নামের দুই ব্যক্তির ছত্রচ্ছায়ায় কটেজ জোনে গড়ে উঠেছে শতাধিক সদস্যের দালাল চক্র। মাদক বেচাবিক্রির পাশাপাশি দালালরা সৈকতে ভ্রমণে আসা নানা বয়সী মানুষজনকে কটেজে এনে অনৈতিক কাজে বাধ্য করে। এরপর নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে ছেড়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে তাদের আপত্তিকর ছবি তুলে রাখা হয়, যেন অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ মুখ না খোলে। এভাবে না জানি কত কিশোর কিশোরীর উপর অত্যাচার করেছে , তাই আমি চাই এর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণ করতে হবে।
See why other supporters are signing, why this petition is important to them, and share your reason for signing (this will mean a lot to the starter of the petition).
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
See why other supporters are signing, why this petition is important to them, and share your reason for signing (this will mean a lot to the starter of the petition).
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
This petiton does not yet have any updates
At 99,989 signatures, this petition becomes one of the top signed on amarabedon.com!
By signing you are agree to the followingTerms & Condition and Privacy Policy.
Firoz Hossain
1 year ago