অনেকটা আনন্দমাখা কুস্তিগিরি শক্তি পরীক্ষার খেলা হলো বলীখেলা। মেলা-পার্বণ লোকসাহিত্যের ইতিহাসে দেখা যায়, বাংলাদেশে বলীখেলা শুধু চাটগাঁইয়াদের। চট্টগ্রামের নিজস্ব সংস্কৃতিও বটে। এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খেলা। বলী শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো শক্তিশালী বা পরাক্রমশালী লোক, বীরপুরুষ, শক্তসামর্থ্য। অর্থ শুনে বোঝা যায়, বলীখেলা মানে শক্তিশালীর মল্লযুদ্ধ বা কুস্তি প্রতিযোগিতা। বলীখেলা চট্টগ্রামের লোকসংস্কৃতির একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। চাটগাঁর মল্ল নামে খ্যাত বহু পরিবার আদিকালের হিন্দু-মুসলিম পরিবারে দেখা যায়। মল্ল শব্দের অর্থ কুস্তিগির, বলী হলো খালি হাতে কুস্তি ধরা।
গবেষক আবদুল হক চৌধুরীর মতে, ‘চট্টগ্রামের ২২টি মল্ল পরিবার ইতিহাস বিখ্যাত। এসব পরিবারের প্রায় সব কটিই পটিয়া থানায় অবস্থিত। যেমন, পটিয়া আশিয়া গ্রামের আমান শাহ মল্ল, চাতরির চিকন মল্ল, জিরির ইদ ও নওয়াব মল্ল, পারিগ্রামের হরি মল্ল, হাইদগাঁওয়ের অলি মল্ল, পেরালার নানু মল্ল ও মোজাহিদ মল্ল, গোরাহিত মল্ল, পটিয়ার হিলাল মল্ল, শোভদণ্ডির তোরপাচ মল্ল, নাইখাইনের বোতাত মল্ল, গৈড়লার ছুয়ান মল্ল। এ মল্ল হলো বলী বা কুস্তিগির। যাঁরা কুস্তি বা বলী ধরে তাঁদের মল্ল বলা হয়।’
ব্রিটিশ আমল থেকেই পটিয়ায় বলীখেলার আয়োজন হয়ে আসছে। সে সময় বিত্তবানেরা মাইকিং করে ঢাকঢোল পিটিয়ে বলীখেলার আয়োজন করতেন। সুনাম ও খ্যাতি অর্জনের জন্য অনেকে এ খেলার আয়োজন করতেন, যা আজ আর কারও অজানা নয়।
১৯০৯ সালের ২৬ এপ্রিল চট্টগ্রামে বকশিহাটের বদরপাতি এলাকার গোলাম রসুল সওদাগরের পুত্র আবদুল জব্বার সওদাগর ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুবসমাজকে শারীরিকভাবে ঐক্যবদ্ধ করতে বলীখেলার আয়োজন করেন। জব্বারের বলীখেলা ধারাবাহিকভাবে আয়োজন হয় চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি মাঠে। কোভিড-১৯–এর কারণে গত দুই বছর বন্ধ থাকলেও চলতি বছরের মে মাসে ঐতিহাসিক লালদীঘির মাঠে ১১৩তম জব্বারের বলীখেলা সম্পন্ন হয়।
পটিয়ার চরকানাই ও বাজি পুইজ্যার বলীখেলা পটিয়ার অন্যতম বলীখেলা। সত্তরের দশকে এ বলীখেলা ও মেলা বন্ধ হয়ে যায়। এর অপর নাম সফর আলী মুন্সীর বলীখেলা। যেদিন বলীখেলা হতো সেদিন খেলা শেষে নানা প্রকারের বাজি পোড়ানো বা ফোটানো হতো, এ জন্য এটি ‘বাজপুইজ্যার বলীখেলা’ নামেও পরিচিত ছিল।
বলীখেলার দিনতারিখ ঠিক হলে হাটবাজারে ঢোল পিটিয়ে লোকজনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হতো। কেউ কেউ কেরোসিনের টিন/চামড়ার ঢোল পিটিয়ে গ্রামেগঞ্জে বলীখেলার দাওয়াত করত।
বলীখেলার উদ্ভবের ইতিকথা–সম্পর্কিত বিবরণে কবি আলাদীন আলীনূর লিখেছেন, ‘কবি কালীদাসের জন্মভূমি পশ্চিম মালব, অর্থাৎ পটিয়ার মালিয়ারা থেকে এবং কবি আফজাল আলীর জন্মভূমি পূর্ব মল্লর, অর্থাৎ সাতকানিয়ার মল্ল বা মিলুয়া থেকে প্রথম মল্লক্রীড়ার অনুষঙ্গী হিসেবে বলীখেলার উদ্ভব হয় এবং তা সমগ্র চট্টগ্রামে জনপ্রিয়তা লাভ করে।’ এই খেলা অ্যাজ ধীরে ধীরে কালের বিবরতনে হারিয়ে যাচ্ছে যাকে রক্ষা করা অতি জরুরী কারন এগুলা দেশের ঐতিহ্য , আপানারা যদি আমার সাথে একমত হয়ে থাকেন এই পিটিশন সাক্ষর করুণ।
See why other supporters are signing, why this petition is important to them, and share your reason for signing (this will mean a lot to the starter of the petition).
See why other supporters are signing, why this petition is important to them, and share your reason for signing (this will mean a lot to the starter of the petition).
4 months ago
This petiton does not yet have any updates
At 499,999 signatures, this petition becomes one of the top signed on amarabedon.com!
By signing you are agree to the followingTerms & Condition and Privacy Policy.
Mirnali Debi
4 months ago